চীনা মালিকানাধীন জনপ্রিয় ভিডিও শেয়ারিং প্ল্যাটফর্ম টিকটক এখন প্রযুক্তিবিশ্বের তুলনায় রাজনৈতিক অঙ্গনে বেশি আলোচিত হচ্ছে। সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রে নিষেধাজ্ঞার মুখে কয়েক ঘণ্টার জন্য বন্ধ ছিল টিকটক। তবে প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের পরপরই টিকটককে আইনি বাধ্যবাধকতা পালনের জন্য বাড়তি ৭৫ দিন সময় দিয়ে একটি নির্বাহী আদেশে সই করেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। ফলে যুক্তরাষ্ট্রে পুনরায় বৈধভাবে কার্যক্রম শুরু করেছে টিকটক। কার্যক্রম চালু করলেও নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রে টিকটকের ব্যবসা যেকোনো মার্কিন প্রতিষ্ঠানের কাছে বিক্রি করতে হবে। আর নতুন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প চান টিকটক যেন টেসলা, স্পেসএক্স ও নিউরালিংকের প্রতিষ্ঠাতা ইলন মাস্ক অধিগ্রহণ করেন। এ বিষয়ে ইলন মাস্ককে ইঙ্গিত করে ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, ‘যদি তিনি এটি কিনতে চান, তবে রাজি।’ ওরাকলের চেয়ারম্যান ল্যারি এলিসনের নাম উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, ‘আমি চাই ল্যারিও এটা কিনবে।’
দীর্ঘদিন ধরেই প্রযুক্তিবিশ্বে গুঞ্জন রয়েছে, ইলন মাস্ক যুক্তরাষ্ট্রে টিকটকের ব্যবসা কিনে নিতে পারেন। এমনকি চীনের পক্ষ থেকেও মাস্কের মালিকানাধীন খুদে ব্লগ লেখার সাইট এক্স (সাবেক টুইটার) প্ল্যাটফর্মকে অংশীদার করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে বলে শোনা যাচ্ছে। তবে টিকটক এ ধরনের খবর অস্বীকার করেছে।
যুক্তরাষ্ট্রের বিচার বিভাগসহ বিভিন্ন সংস্থা মনে করে, চীনের বাইটড্যান্সের মালিকানাধীন টিকটকের কারণে যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসকারী টিকটকের প্রায় ১৭ কোটি ব্যবহারকারীর তথ্য অপব্যবহারের ঝুঁকিতে রয়েছেন। তবে টিকটক প্রথম থেকেই নিজেদের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসকারীদের তথ্য পাচারের অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে। তাদের দাবি, যুক্তরাষ্ট্রের টিকটক ব্যবহারকারীদের তথ্য যুক্তরাষ্ট্রেই ওরাকলের ক্লাউড সার্ভারে সংরক্ষণ করা হয়।
ইলন মাস্ক এবার ট্রাম্পের নির্বাচনী প্রচারে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেছেন। প্রচারণার জন্য বড় অঙ্কের অর্থ অনুদান দেওয়ার পাশাপাশি তিনি ট্রাম্পের অনানুষ্ঠানিক প্রযুক্তি উপদেষ্টা হিসেবেও কাজ করছেন।
সূত্র: ইন্ডিয়া টুডে, টাইমস অব ইন্ডিয়া
0 Comments